সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিঝুম দ্বীপ, মুছাপুর, চরএলাহী, সুখচর, সোনাদিয়া ও নলচিরা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক জায়গায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে এবং দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত হাতিয়ার টাংকির ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালের জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়কসহ নামার বাজার এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পানি ঢুকে পড়ে। এলাকার পুকুরগুলো উপচে পড়ে মাছ ভেসে গেছে। বন্যপ্রাণী বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের হরিণের জন্যও বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা শহর মাইজদীতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পৌরসভার ড্রেন ও খালে ময়লা জমে থাকায় পানি নামতে না পারায় দুর্ভোগ বেড়েছে।
নোয়াখালী আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫১ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, কিছু ইউনিয়নের গ্রামসমূহে ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সুখচরের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবন দেখা দিয়েছে। নদীভাঙনের আশঙ্কায় বহু পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। তবে শনিবার বিকেলে কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কয়েকটি রুটে বোট চলাচল শুরু হয়েছে।